বিমান উঠার সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখে যায় অনেকেই। বারংবার সংকেত দেওয়ার পরেও কে শুনে কার কথা। নিরাপদ আকাশ ভ্রমনের দায়িত্ব শুধু একা পাইলটের নয়। যাত্রীদের ও কিছু দায়িত্ব আছে।
ভ্রমনের সময় যাত্রীদের কিছু ডেস্পারেট আচরণ চোখে পড়ে। এসব আচরণের কারণে যে কোন সময় সদ্য ঘটে যাওয়া নেপাল দূর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পোস্টের উদ্দেশ্য প্যানিক সৃষ্টি নয় বরং সচেতনতা সৃষ্টি।
১) প্লেন গ্রাউন্ড থেকে আকাশে উঠার সময় এবং আকাশ থেকে গ্রাউন্ডে নামার সময় মোবাইল চালু রেখে কথা বলার অভ্যাস পরিহার করুন।
ছবিঃ ১ছবিঃ ১
২) ওয়েটিং রুমে অপেক্ষারত অবস্থায় প্রিয়জনদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে পারেন। তারপর ও অহেতুক প্লেন ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে কেন প্রিয়জনদের সাথে কথা বলতে হবে? প্রিয়জনদের কাছে "এইমাত্র প্লেন আকাশে উঠে যাচ্ছে" এই নিউজের চাইতে সুস্থ্যভাবে আপনি ফিরে আসাটা অধিক কাম্য।
ছবিঃ ২ছবিঃ ২
৩) বিমান মাটি স্পর্শ করার আগে কেন মোবাইল অন করে রিস্ক নিয়ে প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন? আর মাত্র কয়েক মিনিট পরেই আপনি রিস্ক ফ্রি ভাবে সে সুযোগ পাবেন। এরপর ইমিগ্রেশন লাইন ধরা এবং লাগেজের জন্য ওয়েটিং অবস্থায় আপনার হাতে মোবাইলে আলাপের জন্য প্রচুর ফ্রি সময় আছে।
ছবিঃ ৩ছবিঃ ৩
৪) এটুকু বলা যায়, এই দুই বিশেষ সময়ে প্লেনের পাইলট এবং কন্ট্রোল টাওয়ারের মধ্যে ম্যাসেজ আদান প্রদান চলে। ম্যাসেজের সামান্য হেরফের কিংবা ভুল বুঝাবুঝির কারণে সদ্য ঘটে যাওয়া "নেপালের ত্রিভুবন ট্রাজেডি"র মতো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
ছবিঃ ৪ছবিঃ ৪
আপনার অন রাখা ফোনের সিগন্যাল পাইলট ও কন্ট্রোল টাওয়ারের মধ্যেকার ম্যাসেজ আদান প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। সমস্যা না হলে এই দুই বিশেষ সময়ে প্লেনের ক্রু ভাই বোনেরা আমাদেরকে বারবার মোবাইল সুইচ অফের তাগাদা দিতেন না।
ছবিঃ ৫ছবিঃ ৫
সতর্ক হোন। আপনার মুহুর্তের ফ্যান্টাসি কয়েকশত মানুষের জীবনহানির কারণ হতে পারে। প্লেনের সিটে বসেই মোবাইল সুইচ অফ কিংবা এরোপ্লেন মুড করে দিন।
পুনরায় গ্রাউন্ডে নেমে একেবারে থেমে না যাওয়া পর্যন্ত মোবাইল সুইচ অন করবেন না। নিজে সচেতন হোন। আপনার আশেপাশের কাউকে এমন ভুল করতে দেখলে বাধা দিন।
সূত্রঃ History Orbit.