পাখি পৃথিবীর সবচেয়ে অসাধারণ সৃষ্টিগুলোর মধ্যে একটি। এটি নানাভাবে আমাদের উপকার করে, একইসাথে এদের সৌন্দর্যও আমাদের বিমোহিত করে। আজ আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব পৃথিবীর বুকে বিচরণ করা সবচেয়ে সুন্দর পাখিগুলোকে।
দা হুপি।
The Hoopoe
হুপি পাখির মাথায় দারুণ শিখর থাকে যা মোহাওক নামে পরিচিত। এদেরকে প্রায়ই আফ্রো-ইউরেশিয়াতে পাওয়া যায়। এই পাখিরা তাদের পাখা এবং লেজের পালকগুলি মাটিতে ছড়িয়ে দিয়ে মাথা উঁচু করে বসে থাকে। তারা বালি স্নানের জন্যও পরিচিত।
দা গোল্ডেন ফিয়েসেন্ট।
The Golden Pheasant
এই উজ্জ্বল পাখিগুলোকে পশ্চিম চীনে দেখতে পাওয়া যায়। তাদের গলার চারপাশের অন্তরীপ থাকার একটা কারণ আছে। যখন তাদের সঙ্গীর প্রয়োজন হয় একটি পুরুষ তার অন্তরীপ ছড়িয়ে রঙ প্রদর্শনের মাধ্যমে নারীদের আকর্ষণ করে।
দা আটলান্টিক পাফিন।
The Atlantic Puffin
তাদের হাস্যকর চেহারার কারণে তাদের "সমুদ্রের মুরগি' বা 'সমুদ্রের ভাঁড়' ও বলা হয়।
দা কোয়েটজাল।
The Quetzal
এই পাখিগুলো মধ্য আমেরিকার বনভূমির বাসিন্দা। তাদের পালক এবং চুল বেশ অদ্ভুত। এছাড়া তারা তাদের খাদ্যভাসের জন্যও সুপরিচিত। তারা টিকটিকি, কীটপতঙ্গ, ছোট প্রাণী এবং এমনকি ফলও খায়।
রেনবো লরিকিট।
Rainbow Lorikeet
এই টিয়া পাখিটিকে দেখলে মনে হয় কোন বন্য শিল্পী তার সারা শরীরে রঙ ছিটিয়ে দিয়েছে। রেনবো লরিকিটসকে প্রায়ই অস্ট্রেলিয়া এর পূর্ব সমুদ্র সৈকত বরাবর দেখা যায়।তারা রেনফরেস্ট, বন্যভূমি এলাকা, এবং উপকূলীয় ঝোপের মধ্যে থাকতে ভালোবাসে। তারা মাতালও হতে পারে! কৃত্রিম অমৃত পানের মাধ্যমে তাদের এই অবস্থা হয় যা মাসখানেক ধরে চলতে পারে।
দা কিংফিশার্স (মাছরাঙ্গা)।
The Kingfishers
মাছরাঙ্গা বেশ দক্ষ শিকারী। বেশ সুনিপুণ দক্ষতায় তারা মাছ শিকার করে। মাছ ছাড়াও এটি ব্যাঙ, পোকামাকড়, কাঁকড়া, মাউস, লেজার, এমনকি অন্যান্য পাখিও খায়।
দা লিয়ারস ম্যাকাও।
The Lear’s Macaw
এই নীল টিয়াগুলো ইন্ডিগো ম্যাকাও নামেও পরিচিত। নিওট্রপিকালের বিরল সদস্য যারা ম্যাকাও নামে পরিচিত। এগুলো দেখতে নীল কিন্তু ভালো করে তাকালে কিছু সবুজ রঙ দেখা যায়।
পীকক (ময়ূর)।
Peacocks
ময়ূর প্রকৃতির সবচেয়ে আকর্ষণীয় রুপকারদের একটি। তারা তাদের অসাধারণ লেজের পালকের জন্য বিখ্যাত যা খুললে চোখের আকৃতি প্রকাশিত হয়। এই পালক নিজেদের প্রদর্শন এবং সঙ্গী নির্বাচনে কাজে লাগে। পুরুষদের লেজের পালকের দৈর্ঘ্য দেখে নারীরা পুরুষ নির্বাচন করে।
কিল-বীল্ড টুকান্স।
Keel-Billed Toucans
এই পাখিগুলো বেলিজের অধিবাসী। তারা তাদের খুব রঙিন ঠোঁটের জন্য পরিচিত, যা উজ্জ্বল রং এর বিস্তৃত ভাণ্ডার। তারা বেশ সাহসী পাখি হিসেবে পরিচিত। বিপুল ঝড়েও তারা শান্ত হয়ে বসে থাকে।
দা নর্দান কার্ডিনাল।
The Northern Cardinal
আপনি যদি তাদের আবাসস্থলের আশেপাশে থাকেন তবে কখনোই দেখতে ভুল করবেন না। সারা শরীর লালের বিস্তৃত সমাহার যা সকলের দৃষ্টি কেড়ে নেয়।
ফ্ল্যামিঙ্গো।
Flamingos
ফ্ল্যামিঙ্গো ছাড়া সুন্দর পাখির তালিকা কখনোও সম্পূর্ণ হবে না। এই অদ্ভুত গোলাপী পাখিগুলোকে প্রায়ই দক্ষিণ এবং পশ্চিম গোলার্ধে পাওয়া যায। তারা ঘন্টার পর ঘন্টা এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে বেশ পটু।
দা ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর।
The California Condor
ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম ডাঙার পাখি। তাদের চামড়ায় অদ্ভুত ধরনের সামান্য বেগুনি দাগ আছে। অনেক সময় অদ্ভূত ইউনিব্রো (নাকের উপর জোড়া ভ্রু) দেখা যায়। দুঃখজনকভাবে এই বিশাল পাখিগুলোকে বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে।
বোহিমিয়ান ওয়াক্সিং।
Bohemian Waxwing
তারা তাদের রঙের জন্য সুপরিচিত না। কিন্তু আপনি যদি তাদের ভালো করে লক্ষ্য করেন তখন এর সৌন্দর্য আপনার চোখে ফুটে উঠবে। তাদের মসৃণ বাদামী পালক রয়েছে। লেজের পালকে যথেষ্ট পরিমাণ উজ্জ্বলতা রয়েছে।
নর্দান ওরেল।
Northern Oriole
এই পাখিগুলো ছোট, কালো এবং হলুদ পালকের একটি সুন্দর মিশ্রণ আছে। তাদের নামে একটি বেসবল দলও আছে! এই পাখিগুলো সাধারণত প্রজনন ঋতু পর্যন্ত নির্জনে থাকে। পুরূষগুলো তাদের গানের জন্য পরিচিত। তাদের কিচিরমিচির উঁচু এবং সুরেলা।
ব্লু বার্ড অফ প্যারাডাইস বা স্বর্গের নীল পাখি।
Blue Bird-Of-Paradise
এই পাখিগুলোকে নিউ গিনিতে পাওয়া যায় এবং এর মধ্যে নীলগুলো সবচেয়ে বেশী বিখ্যাত। তারা শুধু সুন্দরই নয়, তাদের গানের গলাও বেশ মিষ্টি।